হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জের ভূমিহীনদের খাস জমি দাবি

নোয়াখালী জেলার উপকূলীয় হাতিয়া, সুবর্ণচর ও কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্নস্থান থেকে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে অনেক ভূমিহীন পরিবার উড়ির চরের চরবালুয়ায় আশ্রয় নেয়। প্রায় চার দশক ধরে নদীর সাথে যুদ্ধ করে এ চরে বসবাস করছে তারা। সম্প্রতি চরের মাটিকে চাষ ও বসবাস উপযোগি করে সর্বনিন্ম দেড় একর থেকে দুই একর পর্যন্ত দখলে আছে তারা। কিন্তু দীর্ঘ দিন পর্যন্ত বসতি স্থাপন করে আসলেও বন্দোবস্ত না পেয়ে ভূমিহীনরা কার্যত হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) নোয়াখালী  প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে ভূমিহীনরা। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন ভুমিহীনরা।

ভূমিহীন মো: ইউসুফ, আলী হোসেন ও মোহাম্মদ আলী জানান, প্রায় তিন বছর আগে বন্দোবস্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানে চর উন্নয়ন বসতি স্থাপন প্রকল্পের (সিডিএসপি) অধীনে জরিপ শুরু করে সরকার। পাঁচ শতাধিক ভূমিহীন পরিবারকে দেড় একর করে ভূমি বন্দোবস্তও দেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় মাত্র ৫০ শতাংশ ভূমি বন্দোবস্ত দেয়ার। যা দিলে ভূমিহীনরা শুধু বসবাসের ঘর করতে পারবে। ঘর করার পর তাদের চাষাবাদ করে জীবন যাপন করা মুসকিল হবে। মানববন্ধনে ভূমিহীনরা দেড় একর করে ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার দাবি জানান। পরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।