শিরোনাম

স্ত্রীর মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে রেখে পালালেন স্বামী

জহিরুল ইসলাম, লক্ষ্মীপুর:

লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্ত্রী শারমিনের (২৬) মরদেহ রেখে সটকে পড়েছেন স্বামী মো. সুমন। সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে মরদেহ নিয়ে আসেন তিনি। এরপর তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

শারমিন ওরফে শরমি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চৌরাস্তা বাজার সংলগ্ন চর মনসা গ্রামের মো. তোফায়েলের মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ি একই ইউনিয়নের সুটকির সাঁকো বাজার সংলগ্ন আমরি এলাকায়। শারমিনের স্বজনদের অভিযোগ, স্বামী সুমন এবং শাশুড়ি খুকুমনি পারিবারিক কলহের জেরে শারমিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। সে চার মাসের গর্ভবতী ছিল বলে জানান স্বজনরা।

জানা যায়, প্রায় ৯ বছর আগে ওমান প্রবাসী সুমনের সাথে শারমিনের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে উম্মে তায়বা নামে সাত বছরের এক মেয়ে রয়েছে। শারমিনের শ্বশুরের মৃত্যুর পর শাশুড়ি খুকুমনি দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামী নিয়ে ওই বাড়িতেই থাকত। শারমিনের স্বামী সুমন ওমানে থাকায় বাড়িতে শাশুড়ি খুকুমনি সবসময় শারমিনের সঙ্গে ঝগড়া করত। প্রায় তিনমাস আগে সুমন ছুটিতে বাড়িতে আসে। সেও স্ত্রীর সঙ্গে পারিবারিক কলহে জড়িয়ে পড়ে।

শারমিনের ভাই হেলাল বলেন, দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে আমার ভগ্নিপতি সুমন একটি অটোরিকশাযোগে শারমিনকে নিয়ে হাসপাতালে যায়। এ সময় সে আমাকে জানায় আমার বোন অসুস্থ হয়ে গেছে, তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। আমি হাসপাতালে আসার আগেই আমার বোন শারমিনকে রেখে সুমন পালিয়ে যায়। হাসপাতালে এসে আমি বোনকে মৃত দেখতে পাই। আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। হেলালের দাবি, আমার বোন গলায়  ফাঁস দিতে পারে না, তাকে শাশুড়ি এবং স্বামী মিলে হত্যা করেছে।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমপাড়াকে কেন্দ্র করে গলায় ফাঁস দিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।

Share now

আরও পড়ুন