লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :
লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজে মাঠ থাকলেও সেখানে খেলাধুলা করতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। কারণ মাঠজুড়ে করা হয়েছে সবজি চাষ।
অভিভাবক এবং কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। একটি পৌর শহরের লিল্লাহ জামে মসজিদ এবং অপরটি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে লক্ষ্মীপুর-মজু চৌধুরীর হাট সড়কের পাশে অবস্থিত। পুরাতন থেকে নুতন ক্যাম্পাসের দূরত্ব প্রায় ১ কিলোমিটার। নতুন ক্যাম্পাসে রয়েছে সুবিশাল খেলার মাঠ। প্রায় ২ একর জায়গার কিছু অংশে ২টি অ্যাকাডেমিক ভবন রয়েছে। এর একটি ছাত্রী হোস্টেল। যদিও উদ্বোধনের দীর্ঘ সময় পার হলেও হোস্টেলটি চালু করতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই ভবনগুলো ব্যাতীত কলেজের জায়গাজুড়ে রয়েছে মাঠ। তবে সেই মাঠে খেলাধুলা করার উপায় নেই। কারণ মাঠজুড়ে করা হয়েছে বেগুন, টমেটো, ঢেঁড়স, কাঁচামরিচ, বাদাম, সূর্যমুখী ফুলসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কলেজ মাঠে শুধু খেলাধুলা নয়, একত্রে বসে গ্রুপ স্টাডিও করা যায়। শিক্ষকরা ছাত্রীদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশের চেয়ে আর্থটাকেই এখানে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনের মাঠ থেকে সবজি বাগান অপসারণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবি জানান তারা। অভিভাবকরা জানান, কিছু আর্থিক সুবিধার জন্য খেলার মাঠে সবজি চাষ খুবই দুঃখজনক।
সবজি বাগান দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির গোবিন্দ চন্দ্র ও আনোয়ার হোসেন নামে দুজন অফিস সহকারী। গণমাধ্যমকে গোবিন্দ জানান, কলেজের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। পুরাতনটিতে খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকায় এখানে অধ্যক্ষর নির্দেশক্রমে সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে। কলেজ মাঠে উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে। উৎপাদন খরচ ব্যাতীত অবশিষ্ট টাকা অধ্যক্ষ মহোদয় যেখানে জমা দিতে বলবেন সেখানেই জমা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খন্দকার ইউসুফ হোসেন জানান, মাঠ পরিষ্কার রাখতেই সবজির আবাদ করা হয়েছে। কলেজ মাঠে কৃষি খামার করা হয়নি। তবে, ছাত্রীদের জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।