রায়ের সময় আসামি শিল্পী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে তিনি কারাগারে ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, শিল্পীর স্বামী আজিমুর রহমান আজিম সৌদি আরবপ্রবাসী। শিল্পী শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে শিশুপুত্র আয়ানুর রহমান আয়ানকে নিয়ে সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর স্বামীর সঙ্গে পারিবারিক বিরোধ ছিল। ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে শিল্পীর সঙ্গে স্বামীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে আজিম শিল্পীকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিল্পী তাঁর ঘুমন্ত শিশুকে ধারালো বঁটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন।

মামলায় জানা গেছে, সন্তানকে হত্যার পর শিল্পী নিজেই ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পাশের কক্ষে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ছিলেন। শিল্পীর কক্ষ থেকে বিকট শব্দ শুনতে পেয়ে তারা উঁকি দিয়ে দেখতে পান তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন এবং আয়ানের রক্তাক্ত মরদেহ খাটে পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। হত্যার ঘটনায় মাকে আটক করে পুলিশ।

ঘটনার পরদিন শিশুটির দাদা মো. হুমায়ূন কবির বাদী হয়ে পুত্রবধূ শিল্পীকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ২ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেন। এতে হত্যার দায়ে শিল্পীকে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শিল্পীর যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন।

লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সন্তানকে হত্যা মামলায় মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আদালতে মা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত ছিলেন। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।