লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১টার দিকে আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এই মামলা করেন।
মামলায় চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়া আরও ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১৫ জনকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদীকে প্রধান আসামি করে ৩৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। শিগগিরই জিহাদীসহ অন্য আসামিরা ধরা পড়বে বলে আশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে চেপে পোদ্দার বাজার থেকে নাগের হাটে যাচ্ছিলেন যুবলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমাম। পশ্চিম বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে পৌঁছালে অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা তাঁদের গতিরোধ করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান ঘটনাস্থলে মারা যান।
গুরুতর আহত রাকিব ইমামকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যান। গতকাল বুধবার দুপুরে সদর হাসপাতালে নিহত দুজনের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ করা হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে বশিকপুর আলীয় মাদ্রাসার সামনের মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় তাঁদের।