পুড়ে ছারখার বঙ্গবাজার: সন্দেহ ‘নাশকতা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:

রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, অন্তত ছয়টি মার্কেটে আগুন লাগে। সবগুলো মার্কেটেই ছোট ছোট দোকান। শুধু একটি মার্কেটেই দোকান পুড়েছে আট হাজারের ওপরে বঙ্গবাজারের এনেক্সকো টাওয়ারে রাশেদ বেডিং দোকানের ব্যবসায়ী মো. জকি বলেন, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটে দুই তলা মিলিয়ে দোকান আছে আট হাজার। ওই মার্কেট সম্পর্ণ পুড়ে গেছে। এমন কোনও দোকান নেই যে সেটি পোড়েনি। এই মার্কেটে দোকানের নম্বর রয়েছে ১২ হাজার।

এদিকে বঙ্গবাজারের এনেক্সকো টাওয়ারে পাঁচ থেকে সাত তলা পর্যন্ত পুড়েছে। সেখানে প্রত্যেক তলায় ১১৫টির মতো দোকান রয়েছে। ওই মার্কেটের আবু বক্কর কালেশনের মালিক মো. সিদ্দিক বলেন, খবর পেয়ে সাইনবোর্ড থেকে সাড়ে ৬টায় আসছি। এসে দেখি এমন ভয়াবহ আগুন। আমার দোকান নিচ তলায়। তাই কোনও  ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, রাস্তার পশ্চিম পাশে একসঙ্গে কয়েকটি মার্কেট রয়েছে। মহানগর মার্কেট, ইসলামিয়া মার্কেট ও হোমিও মার্কেট। সে মার্কেটগুলোর সামনের দোকানগুলো পুড়েছে।

এনেক্সকো টাওয়ারে শাড়ির ব্যবসা করেন মো. আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, খবর পেয়ে সকাল ৭টার দিকে স্পটে আসি। এসে দেখি কাঠের মার্কেট পুরোটা শেষ। সব কিছু আগুনে পুড়ে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আমার দোকান আন্ডার গ্রাউন্ডে হওয়ায় এখন পর্যন্ত তেমন কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

তিনি উল্লেখ করেন এখন ঈদের সময়, বিক্রি শুরু হয়েছিল মাত্র। হাজার হাজার কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়েছে। অনেকে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে, স্বজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে ব্যবসা করছেন। আগুনে বঙ্গবাজারে ব্যবসায়ীরা শেষ হয়ে গেলেন। এই ক্ষতি কীভাবে সামাল দেবেন তারা?

এদিকে ব্যবসায়ীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন, এই অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত নাশকতা হতে পারে। বঙ্গবাজার শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক বিএম হাবিব অভিযোগ করেন, জমি ফাঁকা করার জন্য অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার ঘটনা হতে পারে এটা। দীর্ঘদিন একটি মহল অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। মার্কেটের ভেতরে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্যাস ছিল। কিন্তু সকাল বেলা হওয়ায় ব্যবহার করা যায়নি।