নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো ‘ব্লু ইকোনমি: দ্য নিউ ফ্রন্টিয়ার্স’ শীর্ষক ব্যতিক্রমী সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মো. ইদ্রিস অডিটোরিয়াম ভবনে বেলা ১১টায় এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুস সাকিব খানের সভাপতিত্বে উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকী।
সেমিনারের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্সের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
অন্যান্যের মধ্যে সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, সকল অনুষদের ডীন, বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও আমন্ত্রিত শিক্ষার্থীরা।
সেমিনারের প্রধান আলোচক রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম বলেন, বাংলাদেশ একটি বিগ ওশানিক কান্ট্রি। ব্লু অর্থনীতি তথা সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের সম্পদ ভাণ্ডার নিয়ে কাজ করার বিরাট সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার আয়তন মোট ৬৬০ কিলোমিটার, কিন্তু মাছ আহরণ করা হয় মাত্র ৬০-৭০ কিলোমিটারের মধ্যে। মাছ ধরার জন্য ২০০ ফিশিং নৌকা রয়েছে, যেগুলো উপকূল থেকে ৬০-৭০ কিলোমিটার এর মধ্যে কেবল মাছ ধরতে সক্ষম আর তাই মাছের বৈশ্বিক উৎপাদনে বাংলাদেশের অবদান মাত্র ২.৬ শতাংশ। যেখানে চীন একাই বিশ্ববাসীকে ৬১ শতাংশ মাছের যোগান দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সাগরের সীমানায় মালিকানা প্রতিষ্ঠা হলেও, এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে সমুদ্র বক্ষের বিপুল পরিমাণ তেল ও গ্যাস। সমুদ্র বিজয়ের পূর্বে সমুদ্রে তেল গ্যাসের ব্লক ছিলো মাত্র ১টি কিন্তু সমুদ্র বিজয়ের পর তা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২২টি। এ ব্যাপারে বেশ কিছু পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও তা এখনো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। অথচ বাংলাদেশের সমুদ্র ব্লকের পাশেই মিয়ানমার আরও আগেই খনিজ সম্পদ উত্তোলন শুরু করেছে।
খুরশেদ আলম বলেন, শুধু মাছ কিংবা খনিজ সম্পদ নয়, নিজেদের সীমানার সাগরকে ব্যবহার করে পাল্টে দেওয়া যেতে পারে বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতির চিত্র। সমুদ্র অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন, জাহাজ শিল্প, গভীর সাগরে মাছ ধরার উপযোগী জাহাজ নির্মাণ, কন্টেইনার, ওষুধ, প্রসাধনীসহ নানা শিল্প বিকশিত হতে পারে।