হাসিব আল আমিন:
ওপরে নীল আকাশ। নিচে স্বচ্ছ জলরাশি। এর মধ্যেই দাঁড়িয়ে আছে ৮০০ মিটারের কাঠের এক সেতু। সেতু দিয়ে এগিয়ে গেলেই মেঘনার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য। এমন মনোমুগ্ধকর দৃশ্য মন কাড়ছে পর্যটকদের।
কাঠের পাটাতন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে সেতুটি। পর্যটকরা এর নাম দিয়েছেন নামার বাজার সমুদ্র সৈকত সেতু। সেতুর মাঝখানে মাঝখানে রয়েছে ছাউনি। পর্যটকরা ছাউনিতে বসে বিশ্রাম নেন। শেষ বিকেলের আলোয় ছাউনিতে বসে সূর্য ডোবার দৃশ্যও উপভোগ করেন অনেকে।
নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ঘুরতে আসা পর্যটক মেহেদী হাসান মারুফের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, পুরো নিঝুম দ্বীপই সুন্দর ও মনোরম। আমরা ১২ জন এখানে এসেছি ঘুরতে। ৮০০ মিটার লম্বা সেতু দিয়ে শেষ প্রান্তে গিয়ে পরিবেশটা মন ভরে দেখেছি। সেতু থেকে সূর্যাস্তটাও দারুণ উপভোগ করা যায়।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা আফিফ ফেসবুকে এবং অনেকের কাছ থেকে শুনে এসেছেন সেই দৃশ্য উপভোগ করতে। তিনি বলেন, দারুণ পরিবেশ। এই এলাকা যদি পর্যটনবান্ধব করা যায়, তাহলে আরও বেশি পর্যটক আসবে।
আরেকজন পর্যটক আরাফাত জামান বলেন, নিঝুমদ্বীপ যেন মহান আল্লাহর এক অপরুপ সৃষ্টি। বিশাল কেওড়া বন, সমুদ্র সৈকত এবং বিশাল কাঠের সেতু। সব মিলিয়ে যেন অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি।
হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আফছার দিনাজ বলেন, দ্বীপের বিশাল সৈকতসহ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছি। সৈকতে ৮০০ মিটারের বিশাল কাঠের সেতু বানানো হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটকদের জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশি পর্যটকদের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এখানে শতভাগ নিরাপত্তা রয়েছে।
হাতিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান মাহবুব মোর্শেদ লিটন বলেন, নয়নাভিরাম নিঝুম দ্বীপ যেকোনো পর্যটকের মন কাড়বে। এখানে প্রতি বছরই অনেক পর্যটক ঘুরতে আসেন। এখানে পর্যটকদের জন্য আরও ভালো হোটেল-মোটেলের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। তাহলে মানুষ নিঝুম দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগে করতে পারবে।
