নকল সই দিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক:

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেহ উদ্দিন মানিকের বিরুদ্ধে নকল সই দিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে ৪ ম্যাট্রিক টন চালের বরাদ্দকৃত অর্থ ও উন্নয়ন প্রকল্পের ৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে কুশাখালী এ্যানি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, এ ঘটনায় ২২ মার্চ চেয়ারম্যান মানিকের বিরুদ্ধে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে ২৭ মার্চ ইউএনও ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মকবুল হোসেনকে চিঠি দেন।

অভিযোগে বলা হয়, টিআর-কাবিখা প্রকল্পের আওতায় কুশাখালী এ্যানি চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাটের জন্য বরাদ্দকৃত ৪ ম্যাট্রিক টন চালের অর্থ আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান মানিক। এছাড়াও তিনি বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ রেখে নিজের মন মতো কাজ করেছেন এবং নকল সই দিয়ে ৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান মানিক প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া গ্রন্থাগারের জন্য বরাদ্দকৃত ২০টি চেয়ার তিনি বাড়িতে নিয়ে যান। পরে ১২টি চেয়ার ফেরত দিলেও বাকি ৮টি দেননি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মাঠ ভরাটের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৪ ম্যাট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। আমি নিজে টাকা দিয়ে মাঠ ভরাট করেছি। বরাদ্দকৃত চালের সমপরিমাণ টাকা উত্তোলন করতে গেলে পরিষদ থেকে জানানো হয় চেয়ারম্যান টাকা নিয়ে গেছেন। এতে প্রতিবাদ করলে চূড়ান্ত বিলের সময় আমাকে জানানোর কথা ছিল। কিন্তু সেখানেও চেয়ারম্যান আমাকে না জানিয়ে সই নকল করে বিল নিয়ে যান। এছাড়া বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের কাজ শিডিউল অনুযায়ী না করে বরাদ্দের ৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

বক্তব্য জানতে কুশাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছালেহ উদ্দিন মানিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) বলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।