নিউজ ডেস্ক:
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্ট মানবিক সংকটে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। সহায়তা অংশ হিসেবে শীতে ব্যবহার উপযোগী সামগ্রী ঢাকাস্থ তুর্কী দূতাবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলমের নির্দেশনা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত তহবিল থেকে তুরস্কের তীব্র শীতে ব্যবহার উপযোগী সামগ্রী ক্রয় করে ঢাকাস্থ তুর্কী দূতাবাসের অধীনে টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড কো-অর্ডিনেশন এজেন্সি (TIKA) এর কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে। মানবিক এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে শীতের জামা কাপড় ও চিকিৎসা সামগ্রী।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোবিপ্রবি প্রক্টর ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং ভাইস চ্যান্সেলর এর একান্ত সচিব জনাব আবু জুবায়ের এ সহায়তা সামগ্রী হস্তান্তর করেন। এছাড়াও ভূমিকম্পে নিহত ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মুস্তাফা ওসমান তুরানের কাছে একটি শোক বার্তা পাঠিয়েছেন নোবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার-উল-আলম।
শোকবার্তায় উপাচার্য ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। দ্রুততার সঙ্গে এ দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে তুরস্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে নোবিপ্রবির চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো দৃঢ় হবে বলে শোকবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরেকধাপে এ ধরণের সহায়তা দেওয়ারও পরিকল্পনা নিয়েছে নোবিপ্রবি প্রশাসন। এর আগে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে সৃষ্ট বিপর্যয় ও নাগরিকদের মৃত্যুতে বাংলাদেশে ৯ ফেব্রুয়ারি একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হয়। এদিন নোবিপ্রবিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়, কালো পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার ভোররাতে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও জানমালের অশেষ ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে।