নোয়াখালী:
নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রীর (১৮) অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ধারণ করে চাঁদা দাবির অভিযোগে প্রেমিক সহ ৩ যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে, রোববার (২৭ নভেম্বর) উপজেলার মাইজদী পাবলিক কলেজ মাঠ থেকে ৩ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, জেলার হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়নের মো. ইউনুছের ছেলে তানভীর আহম্মেদ শুভ (২২), একই ইউনিয়নের কাজী হাজী মো. সাইফুল ইসলামের ছেলে জুলফিকার ইসলাম নাঈম (২০) ও সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের আবদুল মালেকের ছেলে আরিফুল ইসলাম সৈকত (১৯)।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম (১৮) একই কলেজে পড়ার সুবাদে আসামি তানভির আহমেদ শুভ’র সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শুভ ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সাহায্যে নগ্ন ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে তার মুঠোফোনে পাঠাতে বলে। ভিকটিম আসামির প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে নগ্ন ভিডিও প্রেমিকের ফোনে পাঠানোর পর ভিকটিমের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে আসামি শুভ ভিকটিমের নগ্ন ছবি-ভিডিও আরিফুল ইসলাম সৈকত (১৯) ও জুলফিকার ইসলাম নাঈম (২০) সহ কয়েকজনের ফোনে প্রেরণ করে। ভিকটিম বিষয়টি জানতে পেরে শুভর সাথে যোগাযোগ করে এবং শুভকে ভিডিও-ছবি ডিলেট করতে বললে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) ভিকটিম সদর উপজেলার মাইজদী পাবলিক কলেজ মাঠে সৈকত ও নাঈমকে দেখতে পায়। সেখানে ভিকটিমের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হলে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি তানভীরের হেফাজত থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে এজাহার দায়ের করেছে। আসামিদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।