নোয়াখালীমেইল ডেস্ক :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর হাজারী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাজীরহাট গ্রামের হাজী আলী আহমদ পাটওয়ারী বাড়ির মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম মানিক। তিনি খামারের আয় থেকে, ছোট ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়িয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, দুই বোনকে বিয়ে দিয়েছেন। তার সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন কোম্পানীগঞ্জের নতুন খামারিরা। প্রায় প্রতিদিনই লোকজন আসেন তার কাছে। নেন খামার সম্পর্কে নানা পরামর্শ।
বাবার জমি বিক্রির ৭ আট লাখ টাকা খুইয়ে ৫ বছরে কয়েকবার দাঁড়িয়েছেন অ্যাম্বাসিতে কিন্তু তাতেও মেলেনি ইতালির ভিসা। বাবার পতিত জমিতে ২০১৫ সালে চারটি দুগ্ধজাত গরু দিয়ে শুরু করেন ভাগ্য বদলের চেষ্টা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আজ তিনি সফল।
৩ একর জমির ওপর নির্মিত কেএন এগ্রোর প্রবেশ পথের বাম পাশে রয়েছে দুটি টিনের শেড ঘর এবং ডান পাশে রয়েছে একটি টিনের শেড ঘর। শেডের ভেতরে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা চৌবাচ্চা। খামারের ভেতর-বাইরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। মশা-মাছি আর পোকামাকড় প্রতিরোধেরও ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ভাগ্য সহায় হয়নি।
২০১৫ সালে চারটি গাভী থেকে এখন ২০১৩ সালে তার ১৮টি দুধের গাভী আছে। প্রতিদিন ১৫০ লিটার দুধ বিক্রি করে। ২০১৭ সাল থেকে ১০টি গরু দিয়ে মোটাতাজাকরণ শুরু করে । ২০২৩ সালে এখন আলহামদুলিল্লাহ আমার ১৭৫টি কোরবানির গরু রয়েছে খামারে।