কবিরহাট, নোয়াখালী:
নোয়াখালীর কবিরহাটে এক কর্মী সমাবেশের স্টেজে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কেউ বাকি নেই, সব নেতা। এত নেতা হলে কর্মীর কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’ মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নারীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যদি আবারও ক্ষমতায় আসে, বোরকা পরিয়ে ঘরে রাখবে। তারা যদি আবারও আসে বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবে না মেয়েরা। তারা ক্ষমতায় গেলে মেয়েরা সরকারি চাকরি করতে পারবে না। আজকে পুলিশের এসপি, ডিসি মেয়ে। আজকে সচিব নারী, হাইকোর্টের বিচারপতি নারী, আর্মির মেজর নারী। কে করেছেন? শেখ হাসিনা করেছেন।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। ঐক্যবদ্ধ থাকা মানে স্মার্ট থাকা, শৃঙ্খলা মেনে চলা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট কর্মী দরকার।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আজ তলিয়ে গেছে, অর্থনীতিতে ডুবে গেছে। মির্জা ফখরুল এখনও পাকিস্তানের জয়গান গায়। ৭১ ফখরুলের পছন্দ নয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের পছন্দ নয়। সে জন্য মিটিং করতে গেছে গোলাপবাগের গরুর হাটে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবে না। কারণ, সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে পেয়ারা (ভালোবাসার) পাকিস্তান। সেখানে ৭ মার্চের ভাষণ হয়েছে। ফখরুলের পেয়ারা দোস্ত পাকিস্তান। এরা পাকিস্তানের কথা বলে সকালে ঘুম থেকে ওঠে। পাকিস্তানের জয়গান গেয়ে রাতে ঘুমায়। বাংলাদেশে এখনও ৫ মাসের আমদানি রিজার্ভ মজুত রয়েছে। পাকিস্তানের কাছে এক সপ্তাহ আমদানি করার টাকা নেই। তারপরও মির্জা ফখরুল বলে পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম।’
সেতুমন্ত্রী বিএনপির নেতাকর্মীদের ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আমরা তাদের আক্রমণ করতে চাই না। কিন্তু সিরাজগঞ্জের পাইকপাড়ায় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে ১৮টি মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিল। তারা কারা? তাদের বলতে চাই, যে হাত অস্ত্র নিয়ে আসবে সেই হাত ভেঙে দেবো, যে হাত আগুন নিয়ে আসবে, সে হাত পুড়িয়ে দেবো, যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে, সেই হাত গুঁড়িয়ে দিতে হবে। আমরা আক্রমণ করবো না কিন্ত আক্রান্ত হলে ছাড় দেবো না। ফাইনাল খেলা হবে আগামী ডিসেম্বরে।’
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদ উল্লাহ খান সোহেল।
পরে, তিনি কবিরহাট উপজেলা চত্বরে ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর আগে, দুপুর ১২টায় তিনি জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে ২৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধন ও মোশাররফ-ফজিলাতুন্নেছা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।